ইরান এবার পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ বন্ধ ঘোষণা করল

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৩৫

যাযাদি ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায় এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরমাণু চুক্তিতে আবারও ফেরার ব্যাপারে আগ্রহী ওয়াশিংটন ও তেহরান। তবে চুক্তিতে কে আগে ফিরবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক মতবিরোধ চলছে। এর মধ্যে সম্পূরক প্রটোকলের আওতায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শক দলের জন্য পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইরান।

 

ইরানের দাবি, গত ডিসেম্বর মাসে ইরানের জাতীয় সংসদ একটি বিল পাস করে; যেখানে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে সম্পূরক প্রটোকল বাস্তবায়ন বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এ কারণে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়ায় দেশটির পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইনটি কার্যকর করেছে তারা।

 

এদিকে আইএইএ পরিদর্শক দলের জন্য পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। সাংবাদিকদের তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে সম্পূরক প্রটোকল বাস্তবায়ন বন্ধ করেছে তেহরান। তবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বা এনপিটির সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে তার দেশ।

 

 

সম্পূরক প্রটোকলের আওতায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শক দলের জন্য পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ এবং বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সুযোগ বন্ধ করে দেশটি।

 

এর আগে সম্পূরক প্রটোকলের আওতায় আইএইএ’র পরিদর্শকরা যেকোনো মুহূর্তে ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারতেন। তবে ইরানের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছে পরাশক্তি দেশগুলো। অবশ্য এটি আকস্মিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়; কারণ ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনবিষয়ক সম্পূরক প্রটোকল স্থগিত করা হবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।

 

আর এই কূটনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেই এবার আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার পরিদর্শক দলের জন্য পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিলো ইরান। তবে এর কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো কতোটা চাপে পড়বে বা চাপ অনুভব করবে তা সময়ই বলে দেবে।

 

সূত্র: এপি