আবারও ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অভিসাবীর মৃত্যু হয়েছে। এবার মধ্য ভূমধ্যসাগরে আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়ার উপকূল ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসী ও শরণার্থীবাহী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪১ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার জাতিসঙ্ঘের অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ক দুই সংস্থা, আইওএম ও ইউএনএইচসিআর এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার ১২০ আরোহীর এই নৌকাটি ইউরোপ উপকূল অভিমুখে যাত্রার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। এর আগে নৌকাটি ১৮ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া ছাড়ে।
যৌথ ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রার ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই নৌকাটি সাগরে ডুবতে শুরু করে।
এতে বলা হয়, ‘এই সময়ের মধ্যে, ছয়জনের পানিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এবং আরো দুই জন কাছাকাছি থাকা অন্য একটি নৌকা দেখে তাতে সাঁতরে যেতে চেষ্টা করলে পানিতে ডুবে যায়।’
তিন ঘণ্টা পর বাণিজ্যিক একটি জাহাজ তাদের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করলেও এরই মধ্যে অনেক আরোহী নৌকাডুবিতে প্রাণ হারান।
বাণিজ্যিক জাহাজটি জীবিতদের উদ্ধার করে ইতালির সিসিলি দ্বীপের পোর্টো এমপেদোকলে বন্দরে নিয়ে যায়।
এই দুর্ঘটনাসহ চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে পানিতে ডুবে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ১৭ হাজারের বেশি অভিবাসী ও শরণার্থীর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। জাতিসঙ্ঘ ভূমধ্যসাগরের এই পথকে পৃথিবীর ভয়াবহতম অভিবাসী পথ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা
যাযাদি/ এস