শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চীনা যুদ্ধবিমানে ছেয়ে গেল তাইওয়ানের আকাশ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৩

স্বশাসিত অঞ্চল তাইওয়ান জানিয়েছে, তাদের আকাশসীমায় সোমবার চীনের রেকর্ড সংখ্যক সামরিক বিমান প্রবেশ করেছে। অঞ্চলটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান এবং পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বিমানসহ ২৫টি বিমান ওই আকাশসীমায় প্রবেশ করে। গত এক বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ। চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এই ঘটনা ঘটলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। তবে গণতান্ত্রিক তাইওয়ান নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে থাকে।

তাইওয়ান বলছে চীনের সাম্প্রতিক অভিযানে ১৮টি যুদ্ধবিমান, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম চারটি বোমারু বিমান, দুইটি সাবমেরিন প্রতিরোধী বিমান এবং একটি আগাম সতর্কতা বিমান যোগ দেয়। চীনা বিমানকে সতর্ক করতে যুদ্ধবিমান পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া চীনা বিমান পর্যবেক্ষণে রাখতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন রাখা হয়।

তাইওয়ানের দক্ষিণ অংশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা এবং দক্ষিণ চীন সমুদ্রে তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপে গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বেইজিং। তবে সোমবার বেইজিংয়ের বিমানগুলো তাইওয়ানের আরও ভেতরে আকাশ প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করে।

তাইওয়ানে চীনের যুদ্ধবিমানের প্রবেশের একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন। এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসঙ্গত প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তিনি বলেন, তাইওয়ান নিজেকে রক্ষা করতে পারবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে ওয়াশিংটন। এছাড়াও তিনি বলেন, জোর করে কেউ স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চাইলে মারাত্মক ভুল করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিং মনে করছে তাইওয়ানের সরকার আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার দিকে এগুচ্ছে। এই উদ্বেগ থেকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাসাই ইন-ওয়েনকে সেই পথ থেকে বিরত রাখতে সতর্ক করতে চাইছে বেইজিং। তবে তাসাই ইন-ওয়েন বারবারই বলে আসছেন তাইওয়ান এমনিতেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কোনও প্রয়োজন নেই।

তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান, সেনাবাহিনী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। তবে তাইওয়ানকে নিজেদের সীমানায় আবারও অন্তর্ভুক্ত করতে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা কখনওই উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে