​ক্ষুধা-রোগে মিয়ানমারে গণহারে মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২১, ১৮:২৬

যাযাদি ডেস্ক

 

ক্ষুধা, বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও অরক্ষিত থাকার কারণে মিয়ানমারে গণহারে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। সেনাবাহিনীর নৃশংস ও নির্বিচার হামলায় দেশটির পূর্ব কায়াহ রাজ্য থেকে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোর পর এই উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

বুধবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুজ  এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে আল জাজিরা।

 

অ্যান্ড্রুজ বলেন, ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পরে সামরিক বাহিনীর হামলা কায়াহ বা কেরেনি রাজ্যে হাজার হাজার পুরুষ, নারী ও শিশুদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ক্ষুধা ও বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে রাজ্যটিতে গণহারে মানুষ মারা যেতে পারে।

 

মিয়ানমারে জাতিসংঘের কার্যালয় জানিয়েছে, সন্ত্রাসকবলিত কায়াহ রাজ্য থেকে একলাখেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তারা এখন বনে জঙ্গলে এবং প্রতিবেশী রাজ্য বিশেষ করে শান প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যারা পালিয়েছে এবং যারা পালায়নি, উভয় ধরনের মানুষের জন্য খাদ্য, জল, আশ্রয়, জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসেবার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে। সেনাবাহিনীর বোমা হামলাসহ বিভিন্ন আতক্রমণে জনপদগুলো মনুষ্যবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।

 

জাতিসংঘের আশঙ্কা, এ ধরনের সঙ্কট মানুষকে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে নিরাত্তার সন্ধানে বাধ্য করতে পারে। জাতিসংঘ সব পক্ষকে বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামো রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানায়।

 

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশ জুড়ে প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে। সেনা ও সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কেরেনি পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (কেপিডিএফ) মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে লড়াই চলছে।  মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে সুরক্ষা বাহিনী কমপক্ষে ৮৪৯ জনকে হত্যা করেছে এবং ৫ হাজার ৮০০ জনকে আটক করেছে।

 

কায়াহে বসবাসকারীরা জানিয়েছেন, ২১ মে সামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী যারা নিজেদের কেপিডিএফ বলে অভিহিত করেছে, তাদের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর সেনাবাহিনী বেসামরিক অঞ্চলে নির্বিচারে বিমান হামলা ও গোলাগুলি শুরু করেছে।

 

যাযাদি/এসআই