হাত-পা ভেঙে স্বামীকে হত্যার করার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। আর তার এ কাজে সহযোগী ছিলেন স্বামীরই ফুপাতো ভাই। দেবরের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে এমন ভয়ানক কাজ করার পর স্বামীর লাশ গুমও করেছিলেন ওই নারী। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ডেইলি মার্কেট এলাকার। মৃতের নাম রাম মুসোহর (৩৭)। তার লাশ বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, হরিশচন্দ্রপুরে থাকতেন রাম, তার স্ত্রী পঞ্চমী মুসোহার ও তাদের ১৬ বছরের ছেলে বাপি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল

প্রতিবেশীদের দাবি, মদ খাওয়া নিয়ে রামের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো স্ত্রী পঞ্চমীর। এ দিকে করোনা লকডাউনের সময় সেখানে আসেন রামের ফুপাতো ভাই মনোজ মুসোহার। অন্য রাজ্যের কাজ ছেড়ে রামের সাথে রঙের কাজ শুরু করেন তিনি। ভালোই চলতে থাকে তাদের কাজ। এই সুযোগে স্ত্রী পঞ্চমীর সাথে মনোজের বিবাহবহির্ভূত পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রামের মদ খাওয়া আগের থেকে বেড়ে গিয়েছিল। সাথে বেড়েছিল পরিবারে অশান্তি।

মৃতের ছেলে বাপির দাবি, বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা তাকে জানিয়েছিল তার মা পঞ্চমী। কিন্তু তা নিয়ে আপত্তি ছিল বাবা রামের। মঙ্গলবার বাপিকে গাড়ি ডেকে আনার কথা বলে মা পঞ্চমী। গাড়ি ডাকতে গেলেও কোথাও যাবে তা জানায়নি।

পুলিশের দাবি, সম্ভবত বাপিও জানত না কেন গাড়ি ডাকা হচ্ছে। কথা শুনে সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশী ও গাড়িচালক রামের বাড়িতে এসে তার খোঁজ করেন। তখনই সিঁড়ির নিচে রামের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তারা। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। থেঁতলে দেয়া হয় মাথা। বাড়ি থেকে শাবল, দা উদ্ধার করা হয়েছে। রামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মর্গে। অভিযুক্ত দেবর মনোজ ও ভাবি পঞ্চমীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছেলে বাপিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

যাযাদি/ এস