শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

​জার্মানিতে বামপন্থি এসপিডির জয়

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:২৭

জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নকে (সিডিইউ) হারিয়ে জয় পেয়েছে বামপন্থি দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি)।

দলটি ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছে অ্যাঙ্গেলার ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি বা সিডিইউ ও তার শরীক দল।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও দলগতভাবে ভোটে সবচেয়ে ভাল করেছে গ্রিনস। তারা পেয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট যা দলটির ইতিহাসে এযাবতকালের সবচেয়ে বেশি। ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে এফডিপি। এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট করতে হবে।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ অবশ্য এর আগে বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে। সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সাথে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভোটাররা একটি 'বাস্তবধর্মী সরকার' গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে।

অন্যদিকে অ্যাঙ্গেলার আশীর্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন অংকের হিসেব।

বুথফেরত জরিপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয় এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া যাচ্ছিল।

এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিনস এবং এফডিপি'র হাতে। দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসাথে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারোর জন্য সেটি চমক হতে পারে। তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল। তবে এটা পরিষ্কার যে একটি জোট সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছেন না বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আট কোটি মানুষের এই দেশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি৷ ভোটাররা দু'টি করে ভোট দিয়েছেন৷ একটি ভোট সরাসরি প্রার্থী নির্বাচনের, অপরটি পছন্দের দলকে। দ্বিতীয় তালিকায় দলীয় সমর্থনের অনুপাতের ভিত্তিতে সংসদে অর্ধেক আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়। তবে কে চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন তা আজই নির্ধারিত হবে না। পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবেন।

২৯৯টি সংসদীয় এলাকায় সরাসরি নির্বাচন হয়েছে। অন্য আসনগুলো দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী মীমাংসিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী, দলগুলো তাদের ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যাতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেও মনোনীত প্রার্থীদের পার্লামেন্টে পাঠাতে পারে। কোনো দল ৫ শতাংশের কম ভোট পেলে পার্লামেন্টে যাওয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এবারের নির্বাচনে ৪৭টি দল ৬ হাজার ২১১ জন প্রার্থী দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে