​ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে সেমেরু আগ্নেয়গিরি

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৩৫

যাযাদি ডেস্ক

 

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে শনিবার শুরু হওয়া অগ্ন্যুৎপাতে লুমাজাং প্রদেশের অন্তত ১১টি গ্রাম ছাইয়ের নিচে সম্পূর্ণ চাপা পড়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো গ্রামবাসীদের অনেকেই মসজিদ এবং অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে দেশটির আপৎকালীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

 

আগ্নেয়গিরির ছাই বাড়িঘরের ছাদ পর্যন্ত ঢেকে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন ঘন ধোঁয়ার মেঘ সূর্যকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেওয়ায় দিনের বেলাতেও আকাশ রাতের মতো ঘন অন্ধকার হয়ে আছে। কর্মকর্তারা বলছেন অন্তত ৫৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে, এদের মধ্যে অনেকে গুরুতরভাবে পুড়ে গেছে। বিএনপিবির কর্মকর্তারা বলছেন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৯০০-এর ওপর মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে দম বন্ধ করা ধোঁয়া আর বিদ্যুৎ সংযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে।

 

এ ছাড়াও অগ্ন্যুৎপাতের পর ঝড়বৃষ্টিতে আগ্নেয়গিরির লাভা ও ধ্বংসাবশেষ মিশে কাদায় পরিণত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা তরিকুল হক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন ওই এলাকার সঙ্গে নিকটবর্তী মালাং শহরের সড়ক ও সেতু যোগাযোগও অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ‘খুব দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে’, বলেন তিনি।

 

এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ : অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে ভলক্যানিক অ্যাশ অ্যাডভাইজরি সেন্টার বলছে আগ্নেয়গিরির ছাই জ্বালামুখ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক করা হয়। এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে এই ছাই ১৫ হাজার মিটার উঁচু পর্যন্ত উঠতে পারে।

 

সেখানকার একজন কর্মকর্তা ক্যাম্পবেল বিগস বিবিসিকে বলেছেন, বেশিরভাগ বিমান যে উচ্চতায় ক্রুজ করে, সেমেরু আগ্নেয়গিরির ছাই তার চেয়েও উপরে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, এই ছাইয়ের মেঘ এড়াতে এয়ারলাইনসগেুলোকে তাদের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে হবে। বিমানের ইঞ্জিনের ঠাণ্ডা অংশে এই ছাই ঢুকলে তা জমাট বেঁধে যায় এবং তাতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়ে ইঞ্জিন বন্ধ হতে পারে।

 

যাযাদি/এসএইচ