মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তিউনিশিয়ায় ২০২১ সালের জুলাই মাসে সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ। এরপর থেকে দেশটির সকল ক্ষমতার অধিকারী হন তিনি । রাজনৈতিক নেতারা দুর্নীতি ও অবিচারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছেন। এসব দাবি করে সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট সাঈদ।
এবার জানা গেল তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ওয়াতানিয়ায় সকল রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফলে কোনো নেতা কোনো টকশোতে অংশ নিতে পারবেন না। তবে বিষয়টিকে বাকস্বাধীনতার জন্য চরম হুমকি বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার প্রেস সিন্ডিকেট। সংঘটনটির প্রধান মেহেদী জিয়াসি জানান, গত জুলাই থেকেই কোনো নেতাকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি ঢুকতে দেয়া হয়নি।
প্রেসিডেন্ট সাঈদ বেসরকারি গণমাধ্যমের বেশ সমালোচনা করে থাকেন। কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমগুলোকে তিনি মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করেন। এমনকি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়।
তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিউনিশিয়ার সরকারি কর্মকর্তা বা বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করা হয়। এমনকি প্রেসিডেন্ট সাঈদের বিরুদ্ধে হওয়া আন্দোলনের খবরও প্রকাশ করে তারা। সূত্র : দ্য নিউ আরব
যাযাদি/এসএইচ