সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের 'আজাদি মার্চ'কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ অভিমুখে যাচ্ছেন পিটিআই নেতা-কর্মীরা। প্রশাসনিক বাধার কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে লাহোর। বাধার মুখেও আজাদি মার্চের নেতৃত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খান। তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
জনগণকে আজাদি মার্চে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছেন যে, পিটিআই নিজেদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবে। খবর ডন ও জিও টিভির।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আজাদি মার্চকে কেন্দ্র করে ইমরান খান ও তার সহযোগীদের আটকের পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার।
পুলিশ পিটিআই নেতাদের আটকাতে ব্যারিকেড এবং চেকিং অব্যাহত রেখেছে। পিটিআই কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে সমাবেশে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খানের আজাদি মার্চ রুখে দিতে নিরাপত্তা কর্মীদের সম্ভাব্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইমরান খান তার এই আজাদি মার্চকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। লাহোরে পিটিআইয়ের র্যালি থেকে দেশটির পুলিশ সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা হামাদ আজহারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়েছে। তবে দলের কর্মীরা তাকে রক্ষা করে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদের গাড়ি আটকে দিয়েছে পুলিশ। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, এসময় পিটিআই সমর্থকরা পুলিশকে গালাগাল করছে এবং ইয়াসমিনের গাড়ির চাবি ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। বাট্টি চক এলাকা থেকে ১০ জনেরও বেশি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ঘোষণা করেছেন যে, তিনি হেলিকপ্টারে করে ওয়ালি ইন্টারচেঞ্জে পৌঁছেছেন। যাত্রার আগে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। এতে তিনি দেশের জনগণকে তার মার্চে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
ভিডিওবার্তায় ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
যাযাদি/এস