ন্যাটোর কারণেই পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে: রাশিয়া

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২২, ১০:৫২ | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২২, ১০:৫৩

যাযাদি ডেস্ক

ন্যাটো পরমাণু শক্তির অধিকারী নয় এমন দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে , যা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটির লঙ্ঘন। তাছাড়া এর মাধ্যমে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ দাবি করা হয়েছে।

গতকাল এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি জাতিসংঘের উদ্যোগে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ পর্যালোচনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল মূলত এই বার্তা তুলে ধরেছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-পরিচালক ইগর ভিশনেভেটস্কি বলেন, ন্যাটো জোট প্রকাশ্যে নিজেকে একটি পরমাণু জোট বলে ঘোষণা দিয়েছে। জোটের প্রধান সদস্য যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্র নেই এমন দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করছে।

রাশিয়ার এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এনপিটির এক ও দুই নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে পরমাণু অস্ত্রের বাস্তব পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই ধরনের তৎপরতা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় নিরাপত্তার ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বরং এটি পরমাণু সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, মস্কোর অবস্থান হচ্ছে মার্কিন পরমাণু অস্ত্রগুলো অবশ্যই তার নিজস্ব ভূখণ্ডের ভেতরে সরিয়ে দিতে হবে, পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের জন্য ইউরোপে যেসব অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে তা ধ্বংস করতে হবে ও নাটোর যৌথ পরমাণু মিশন বাতিল করতে হবে।

যাযাদি/এসএস