যে কারণে ইউক্রেনে যাচ্ছেন এরদোয়ান ও গুতেরেস

ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার তারা ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় তারা বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করবেন। জাতিসংঘের এক মুখপাত্র এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে দেশটির লভিভ শহরে গুতেরেস ও এরদোয়ান ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবারের এ বৈঠকে ইউক্রেনের অন্যান্য নেতরাও অংশ নিবেন।’

এ সফরের বিষয়ে দুজারিক বলেন, ‘ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর ওদেসা পরিদর্শনে যাবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের মহাসচিব। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকবেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।’

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি চুক্তির আওতায় সেখান থেকে পুনরায় খাদ্যশস্য রফতানি শুরু হয়েছে। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রফতানি নিয়ে গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য রফতানিকারক দেশ ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এর ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। কোটি কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে পড়ে। এ সংকট কাটাতেই রুশ- ইউক্রেন চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তিতে সই করেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু ও ইউক্রেনের অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী ওলেক্সান্দার কুবরাকভ। অবরুদ্ধ কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে পণ্য পরিবহনের ওই চুক্তিতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের প্রতিনিধিরাও স্বাক্ষর করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন গুতেরেস। এ সময় তারা জাপোরঝিজিয়া পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া, চলমান সংঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।’

শনিবার গুতেরেস ইস্তাম্বুলের যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এটা রাশিয়ান, ইউক্রেনীয়, তুর্কি এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের শস্য এবং সারের রফতানি তদারক করে। এসব পণ্য কৃষ্ণ সাগর দিয়ে অন্য অঞ্চলগুলোতে যাচ্ছে। সূত্র : আল-জাজিরা

যাযাদি/এস