দেবে যাচ্ছে পুরো একটি শহর, রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:৩৫

যাযাদি ডেস্ক
ছবি- সংগৃহীত

ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য উত্তরাখণ্ড। রাজ্যটির চামোলি জেলার জোশিমঠ নামের শহরটি হিমালয়ে ঢোকার অন্যতম প্রবেশদ্বার। শহরটির কয়েক শত ঘর-বাড়ি দোকান-পাটে রবিবার থেকে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।  

ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) রাজ্যের চারটি দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তারা সেখানে যতদিন দরকার অস্থায়ীভাবে থাকবেন। দেশের সংশ্লিষ্ট আরও বিভাগ এবং সংস্থাগুলোরও সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ডুবন্ত শহরটিকে বাঁচাতে প্রায়োজনীয় গবেষণা, পরিকল্পনা করবেন তারা। 

জোশিমঠের পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার ( জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পুরো শহরটিকে কীভাবে পুনর্গঠন করা যায়, তার একটা পরিকল্পনা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। প্রতি মুহুর্তের ভূমিকম্পগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবে রাখতে হবে। আরও সংশ্লিষ্ট সব দিক আমলে নিয়ে জোশিমঠের জন্য এমন একটি নগর পরিকল্পনা করতে হবে, যা হবে ঝুঁকি সহনশীল।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি রবিবার সকালেই জোশিমঠ সফর করেছেন। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছয় হাজার ১৫০ ফুট উপরে অবস্থিত জোশিমঠ তার আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো বড় বড় প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে জলবিদ্যুৎ, হেলাং মারওয়ারি বাইপাস, হেডেল প্রজেক্ট অন্যতম। রবিবার থেকে এগুলোসহ সব ধরনের প্রকল্পের কাজ স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প করার কারণেই জোশিমঠ দেবে যাচ্ছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনকেও বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন তারা। তবে, জোশিমঠ ডুবে যাওয়ার পেছেনে মানুষের কাজকর্মের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগও গুরুতর ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  ১৬ হাজার মানুষের শহরটিতে প্রায় সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে। 

যাযাদি/ সোহেল