চীনে গম্বুজ ভাঙ্গার ঘটনায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার 

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৩, ০৯:৪৩

যাযাদি ডেস্ক

সরকারীভাবে কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে চীনে কি ঘটে তা জানা প্রায় অসম্ভব। তবে মাঝে মধ্যে সামাজিক মাধ্যমের কারণে এসব খবর প্রকাশিত হয়। এবার সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে বিবিসি জানিয়ে চীনের ঐতিহাসিক একটি মসজিদের গম্বুজ ভেঙে ফেলেছে পুলিশ। আর এতে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা দেখা দেয়। 

জানা যায়, চীন সরকারীভাবে নাস্তিক রাষ্ট্র এবং সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ধর্মীয় স্বাধীনতার অনুমতি দেয়। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মের খড়গ চালাচ্ছে বেইজিং। বিশেষ করে মুসলিমদের ব্যাপারে তারা বেশ কঠোর। নামাজ, রোজা কিংবা ঈদ পালন কঠোর হস্তে দমন করে দিন। চিনের বিভিন্ন রাজ্যে হাজার হাজার মুসলিমকে বন্দি করে রাখার অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। 


শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ মসজিদের প্রবেশ মুখে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। এসময় এক দল পুরুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশ বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে, বিক্ষোভে জড়িতদের ৬ জুনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।

জানা যায়, চীনের ইউনান শহরের একটি মসজিদের গম্বুজ পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। নাগু শহরে ১৩ শতকে নির্মিত নাজিয়াইং মসজিদের বাইরে শনিবার বিক্ষোভ হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও এর বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউনান দক্ষিণ চীনের জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় প্রদেশ। এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে। চীন সরকারীভাবে নাস্তিক রাষ্ট্র এবং সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ধর্মীয় স্বাধীনতার অনুমতি দেয়। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মের খড়গ চালাচ্ছে বেইজিং। নাজিয়াইং মসজিদ চীনের মুসলিমদের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি নতুন গম্বুজ ও বেশ কয়েকটি মিনার তৈরির পাশপাশি মসজিদের জায়গা প্রসারিত করা হয়।

২০২০ সালে আদালত এই গম্বুজ ও মিনারকে বেআইনি বলে ঘোষণা দেয় এবং এগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। এই আদেশটি কার্যকর করার জন্য সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

যাযাদি ডেস্ক