পানি নিয়ে উত্তেজনা, ইরান দখলের হুমকি তালেবান নেতার

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৩, ০৯:৫৪

যাযাদি ডেস্ক

বিশ্বে দিন দিন পানি সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে এই পানি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। নীল নদের পানি নিয়ে মিশরের সঙ্গে প্রতিবেশি দেশগুলোর বিরোধ তুঙ্গে। অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন নীল নদের পানি নিয়ে যে কোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। 

এবার এই পানি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান ও আফগানিস্তান। নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বিরোধের জের ধরে তেহরান ও কাবুলের মধ্যকার উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তান শাসনকারী এক তালেবান কমান্ডার ইরান দখল করার হুমকি দিয়েছেন। এই হুমকির পর উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইতোমধ্যে ইরান তার সব সীমান্ত আফগান নাগরিকদের জন্য বন্দ করে দিয়েছে। 

ইদকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনী ও ইরানি সীমান্ত বাহিনী একটি সীমান্ত চৌকির কাছে একে অপরের দিকে গুলিবর্ষণ করছে। এতে এক তালেবান অফিসার নিহত এবং দুই ইরানি সীমান্তরক্ষী নিহত হয়।

আরো খবর পাওয়া গেছে, তালেবান যোদ্ধারা ইরানি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে একটি সামারিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। অবশ্য একটি ভিডিওতে তাদেরকে ইরানি পতাকা-সংবলিত একটি দুর্গের দিকে যেতে দেখা যায়। এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

একটি ভিডিওতে সিনিয়র তালেবান কমান্ডার আবদুল হামিদ আল-খোরাসানি নাসের বদরিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে দেখা যায়, তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে ২০ বছর ধরে যেভাবে যুদ্ধ করেছে, ইরানের বিপ্লবী রক্ষীদের বিরুদ্ধে তার চেয়ে বেশি আবেগ দিয়ে লড়াই করবে। বাদরি আরো বলেন, 'তালেবান নেতারা সবুজ সংকেত দেয়ামাত্র ইরান দখল করবে' তালেবান।

এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সত্ত্বেও তালেবান কর্মকর্তারা বেশ নরম সুরেই কথা বলছেন। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র হাফিজ জিয়া আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাই না। আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানসহ প্রতিবেশীদের মধ্যকার সমস্যার সুরাহা করতে পারি। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান কখনো উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।

হেলমন্দ নদীর পানি নিয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে। নদীটি আফগানিস্তান থেকে ইরানে গেছে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের সামান্য আগে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আফগানিস্তান সরকার ২০২১ সালের মার্চে কামাল খান ড্যামটি চালু করে। এরপর থেকেই ইরান অনেক কম পানি পাচ্ছে।

তালেবান ও নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গত বছর নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির সুরাহা করতে চায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

যাযাদি/ এস