২৫ বছরের আগেই করতে হবে বিয়ে, মিলবে পুরস্কার 

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৬

যাযাদি ডেস্ক

গত দশকে এক সন্তান নীতিতে অটল ছিল বিশ্বের জনবহুল দেশ গণচীন। সে নীতি বাস্তবায়নে নির্মম আচরণ করে চীনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এতে করে অনেক নারী সন্তান জন্মদানের অক্ষম হয়ে পাড়েন। 
চিকিৎসকদের ধারণ অতিরিক্ত পিল খাওয়ার কারণে এ অবস্থা হয়। সে নীতির কারণে ব্যাপক হারে কমতে থাকে নারীদের সন্তান জন্মদান। বর্তমানে চীনে বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে নারীদের কোনো আগ্রহই নেই। বার বার পুরস্কার ও প্রনোদনা ঘোষণা করেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। 

জানা যায়, চীনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি অঞ্চলে তরুণদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করার অংশ হিসেবে নব দম্পতিদের নগদ পুরস্কার প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো কনের বয়স হতে হবে ২৫ বা এর চেয়ে কম। শর্ত পূরণ  হলে নবদম্পতি পাবেন ১ হাজার ইউয়ান। এটি জন্মহার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তরুণদের বিয়ের প্রতি উৎসাহিত করার সর্বশেষ পদক্ষেপ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে চাংশান কাউন্টির অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,  প্রথম বিয়ের জন্য বয়স-উপযুক্ত বিবাহ ও সন্তান জন্মদানের প্রচারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সন্তান জন্মদানকারী  দম্পতিদের জন্য শিশু যত্ন, বিকাশ এবং শিক্ষায় ভর্তুকিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ছয় দশকের মধ্যে চীনে প্রথমবার জনসংখ্যা হ্রাস এবং জনগোষ্ঠীর বার্ধক্য নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষগুলো জরুরিভাবে আর্থিক প্রণোদনা এবং শিশু উন্নত যত্ন ও সুবিধাসহ জন্মহার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

চীনে বিয়ের বৈধ বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ২২ এবং নারীদের ২০ বছর। তবে বিয়ে করা দম্পতিদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি নীতির কারণে অবিবাহিত নারীদের জন্য সন্তান ধারণ করা কঠিন, ফলে জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে।

জুন মাসে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে বিয়ের হার রেকর্ড সংখ্যা কমে ৬.৮ মিলিয়ন হয়েছে। যা ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্ন। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর ৮ লাখ বিয়ে কম হয়েছে।

যাযাদি/ এস