চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরকীয়ার কারণে পদ হারান 

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৩

যাযাদি ডেস্ক

দায়িত্ব পালন অবস্থায় আচমকা লাপাত্তা হয়ে যান চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং। এ নিয়ে চীনে এবং বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তখন অনেক বিশ্লেষক নানা মন্তব্য করেন। যা সে সময় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কারণ চীনকে বলা হয় বর্তমান বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি। সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হঠাৎ পর্দার আড়ালে চলে গেল তো আলোচনা-সমালোচনা হবেই। তার এই যাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোচনা কম হয়নি। তবে ২ মাস পর তিনি প্রকাশে এলেন। ফাঁস হয়ে গেল আসল ঘটনা।  

জানা যায়, গত ২৫ জুন শেষবার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং-কে। তার পরে যেন উবেই গিয়েছিলেন তিনি। তার আচমকা লাপাত্তা হয়ে যাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোচনা কম হয়নি। এর মধ্যেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গ্যাং-কে সরিয়ে দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই পদ খোয়াতে হয়েছে গ্যাং-কে। তিনি পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন আমেরিকার এক নাগরিকের সাথে। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত চীন নেতৃত্ব এখন খতিয়ে দেখছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো গুরুতর বিষয় গ্যাং ফাঁস করেছেন কিনা।

শি জিনপিং ২০২১ সালের জুলাইয়ে আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত করে পাঠিয়েছিলেন তার অতি বিশ্বস্ত ৫৭ বছর বয়সী গ্যাং-কে। আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, ওই বছরের শেষার্ধে দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে আমেরিকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অ্যাঙ্কর ফু জিয়াওটিয়ানের সাথে গ্যাং-এর পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই তার চেয়ে ১৭ বছরের ছোট ফু-এর সাথে সম্পর্কে জড়ান গ্যাং। গত ডিসেম্বরে গ্যাং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। তার কিছু দিনের মধ্যেই আমেরিকা সফরে যান তিনি। আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমটির রিপোর্ট, ওই সময় সন্তানের জন্ম দেন ফু। সকলের অগোচরে ফু ও তার সন্তানকে নাকি দেখেও এসেছিলেন গ্যাং। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে সন্তান কোলে দেখা গেছে ফু-কে। যদিও সেই সন্তানের পিতৃপরিচয় এখনো প্রকাশ করেননি ওই টিভি অ্যাঙ্কর।

সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু গ্যাং-এর গোপন প্রণয়ের কথা জানতে পারেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। গোটা বিষয়টি তিনি জানিয়ে দেন গ্যাং-এর স্ত্রীকে। ক্ষিপ্ত গ্যাং-পত্নী নালিশ জানান প্রেসিডেন্টের দরবারে।

আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমটির দাবি, এর পর থেকেই লাপাত্তা গ্যাং। বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব। আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমটি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দেশের বিদেশ-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন চীনা নেতৃত্ব। যে হেতু বিষয়টির সাথে আমেরিকা জড়িয়ে, তাই চীনের অস্বস্তির মাত্রা আরো বেশি। সূত্রের খবর, বিদেশীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় এমন চীনা কর্মকর্তাদের গতিবিধির খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নজরে রয়েছেন চীনা সেনাবাহিনীর শীর্ষ অফিসারেরাও। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

যাযাদি/ এস