মিয়ানমারে আরো ঘাঁটি হাতছাড়া সেনা-শাসকের

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

যাযাদি ডেস্ক

চলতি সপ্তাহে বিরোধী যোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে আরো বেশ কয়েকটি ঘাঁটি হাতছাড়া হয়েছে সেনার। পিডিএফের ঘাঁটি আক্রমণ করেও সেনা সফল হয়নি।

গত তিন দিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সাথে তীব্র লড়াই হয়েছে সেনার। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেনা নিজেদের ঘাঁটি বাঁচাতে পারেনি। ৬২টি সেনা ট্রুপ পরাজিত হয়েছে। জান্তা সরকার একাধিক ঘাঁটি হারিয়েছে।

পিডিএফের সাথে এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন (ইএও) সমানতালে সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই লড়াই হয়েছে। এর মধ্যে সাগাইং, মাগওয়ে এবং মান্ডালায় তীব্র লড়াই হয়েছে। কাচিন এবং কারেন রাজ্যেও লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে।

হোমালিন অঞ্চলের শুই পি আই শহরটি দখল করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে সেনা। ১০ দিন ধরে তারা সেখানে পিডিএফের সাথে লড়াই করেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা জিততে পারেনি। এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে তারা। ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর এই এলাকাটি পিডিএফ দখল করেছিল। তারপর থেকে একাধিকবার সেনা এই অঞ্চল নিজেদের কব্জায় নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে।

শনিবার মাগওয়ে অঞ্চলে সেনার ২৫৮ নম্বর লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করছিল বলে জানা গেছে। তারা ওই অঞ্চলের বাড়িঘরে লুঠপাট চালাচ্ছিল বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পিডিএফ তাদের উপর ২০টি ড্রোন আক্রমণ চালায় বলে জানা গেছে। তাতে সেনার প্রভূত ক্ষতি হয়েছে বলে পিডিএফের দাবি।

মিনগিয়ান অঞ্চলেও একইভাবে লড়াই হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পিডিএফের ব্ল্যাক টাইগার গ্রুপের সাথে সেনার একটি রেজিমের লড়াই হয়েছে। সেনা একটি বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। মন্দিরে ঢুকে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়।

সব মিলিয়ে গত ১০ দিনে পিডিএফ এবং সেনাবিরোধী যোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন কোণে একাধিক জাযগার দখল নিয়েছে। যে এলাকাগুলো সেনার শাসন সমর্থন করে সেই এলাকাগুলোতেও এবার আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে পিডিএফ। সূত্র : ডয়চে ভেলে

যাযাদি/ এস