ইমরান খানের দল ১৫০ আসন পাওয়ার দাবি, হাল ছাড়ছেন না নওয়াজ
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫১
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ফলাফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চমক দেখা গেছে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগও (পিএমএল-এন) হাল ছাড়তে রাজি নয়।
এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে যে ১৪টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে পিটিআই ৫টিতে বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারির পিপিপি ৫টিতে এবং পিএমএল-এন ৪টিতে জয়ী হয়েছে।
পাকিস্তানে সরকার গঠন করার জন্য অন্তত ১৩৩টি আসনের প্রয়োজন। ৩৩৬ আসনবিশিষ্ট পাকিস্তান পার্লামেন্টে গতকাল ২৬৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ৭০ আসন সংরক্ষিত। এছাড়া চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনও গতকাল হয়েছে।
পিটিআই ১৫০ আসনে জয়ের দাবি : পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার গওহর বলেছেন, তার দল এই নির্বাচনে ১৫০টি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, স্থানীয় সময় বেলা ২টার মধ্যে সব আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তিনি গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থানের জন্য পিটিআই নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের পাশাপাশি পিটিআই খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশেও জয়ী হবে।
পিএমএল-এনও আশাবাদী
পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা মরিয়াম আওরঙ্গজেব শুক্রবার আশাবাদ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবে তার দল সরকার গঠন করবে। তিনি টুইটারে বলেন, শেষ পর্যন্ত গণনায় তার দলই জয়ী হবে।
নওয়াজ শরিফ হেরে গেছেন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ জাতীয় পরিষদে মানসেরা আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে শোচনীয়ভাবে হেরে গেছেন। তিনি অবশ্য দুটি আসন থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। অপর আসনের ফলাফ এখনো জানা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। খুব দেরিতে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। মাঝখানে ১৩ ঘণ্টা ভোট গণনা ঘোষণা বন্ধ ছিল।
জাতীয় পরিষদের ১৫ নম্বর আসনে নওয়াজ শরিফ হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা গাস্তাসাপের কছে।
বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, শাহজাদা ৭৪,৭১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর নওয়াজ পেয়েছেন ৬৩,০৫৪ ভোট।
শাহবাজ শরিফ জিতেছেন
পিএমএল-এন সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ফেডারেল এবং প্রাদেশিক উভয় আসনেই জয়ী হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, তিনি লাহোরের এনএ-১২৩ আসন থেকে ৬৩,৯৫৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছনে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৪৮,৪৮৬ ভোট।
একইভাবে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তিনি ৩৮,৬৪২ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী চৌধুরী ইউসুফ আলী পেয়েছেন ২৩,৮৪৭ ভোট।
হামজা শাহবাজও জয়ী হয়েছেন
শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজও জয়ী হয়েছেন। পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হামজা ১,০৫,৯৬০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিয়া হামজা পেয়েছেন ১,০০,৮০৩ ভোট।
যাযাদি/এস