খামেনির ‘ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট’ সরিয়ে দিল মেটা
প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২
কনটেন্ট বিষয়ক নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নামে পরিচালিত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুটির মাতৃপ্রতিষ্ঠান মেটা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। মেটার মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেটার মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘আমাদের (মেটার) বিপজ্জনক সংস্থা ও ব্যক্তি সংক্রান্ত নীতি বারবার ভঙ্গ করায় আমরা এ অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দিয়েছি।’ তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা মেটা উল্লেখ করেনি। একই সঙ্গে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিজেই এসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ ইরানে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিষিদ্ধ।
বিশেষ করে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে- এমন অভিযোগের পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বাতিলে চাপ বাড়ে মেটার ওপর। সেই হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হামাসকে সমর্থন দেন এবং এ হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে- তা অস্বীকার করেন।
মেটার নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বাস্তব দুনিয়ায় ক্ষতি করতে পারে- এমন কনটেন্ট প্রতিরোধ করতে যারা হিংসাত্মক আচরণ করে বা সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্ল্যাটফর্মে উপস্থিতি থাকতে চায় তাদের আমরা এখানে থাকতে দিই না। মূলত এই নীতিমালার আলোকেই আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা একাধিকবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসনের বিরোধিতা করে তার জবাব দেওয়ার বিষয়ে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। এমনকি ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরাইল অভিমুখী পশ্চিমা বিশ্বের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালালে সেগুলোও সমর্থন করেছিলেন।
ইরানে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিগত ৩৫ বছর ধরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার নামের অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ অনুসারী আছেন।
যাযাদি/ এস