ভারতে ২৭ লাখ রুপি মুক্তিপন না দেয়ায় মুসলিম শিশু খুন

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬

যাযাদি ডেস্ক
ছবি-সংগৃহিত

বাড়ি থেকে বের হয়ে আসর নামাজে যায় এক শিশু। নামাজ শেষ করে মসজিদে থেকে বের হওয়ার পরই অপহরণের শিকার হয় নয় বছরের শিশুটি। স্থানীয় এক টেইলর ওই শিশুকে অহরণের পর মুক্তিপন হিসেবে ২৩ লাখ রুপি দাবি করেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ লাখ ২৭ হাজার টাকা। অপহরণের পর ওই টেইলর শিশুকে একটি বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। খবর এনডিটিভি

জানা যায়, ভারতের মহারাষ্ট্রের গোরেগাঁও গ্রামে রোববার বিকালে (২৪ মার্চ) এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক অভিযোগে পুলিশ জানতে পেরেছে, অপহরণকারী যুবক নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য অর্থ দাবি করে। তিনি স্থানীয় একজন টেইলর। নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য সে শিশু ইবাদকে অহরণের পরিকল্পনা করে। 

ইবাদ সন্ধ্যার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে ইবাদের বাবার ফোনে একটি কল আসে, সেখানে তাকে বলা হয় মুক্তিপন দিলেই আপনার ছেলে নিরাপদে বাড়ি ফিরবে। এরপরই কলটি কেটে দেওয়া হয়। 

পরবর্তীতে শিশুটিকে খুঁজতে স্থানীয়রা সহযোগিতা করে। কিন্তু তারা খুঁজে না পেয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশও শিশুটিকে পাওয়ার জন্য খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে যে নম্বর থেকে শিশুটির বাবাকে ফোন করা হয় ওই নম্বর ট্রাক করে পুলিশ। পরে অপহরণ কারীর নাম জানার পর সবাই হতবাক হয়ে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে যা হবার তা হয়ে গেছে। শিশুটিকে হত্যা করে ওই যুবক বস্তার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। 

থানা পুলিশের সুপারিয়েনডেন্ট জানিয়েছে, শিশুটিকে হত্যার কারণ জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তের ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ সেও অপহরণের পেছনে কাজ করে। 

যাযাদি/ এস