গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস

প্রকাশ | ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

যাযাদি ডেস্ক

দীর্ঘ ৬ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। আর এই যুদ্ধের বলি হচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। গত বছরের শেষে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি হলেও এরপর আর যুদ্ধবিরতি হয়নি অবরুদ্ধ ভূণ্ডটিতে। 

এদিকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার হামাসের প্রস্তাবে ইসরায়েলের সাড়া দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন হামাসের ডেপুটি প্রধান খলিল আল-হাইয়া। এ নিয়ে শনিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে (যুদ্ধবিরতির) যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইহুদি দখলদার শক্তি।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলন (হামাস) এই প্রস্তাব বিবেচনা করবে এবং বিবেচনা শেষ হলে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’

গত ১৩ এপ্রিল হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেয়। তবে ইসরায়েল বিরোধিতা করে। সর্বশেষ, গত শুক্রবার মধ্যস্থতাকারী মিশরের একটি প্রতিনিধিদল ইসরায়েলে পৌঁছেছে স্থগিত হওয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য।

শুক্রবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইসরায়েল সফর করেছে একটি মিসরীয় প্রতিনিধি দল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বৈঠকের বিষয়ে জানান, ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার শুরু করার উপায় খুঁজছেন তারা।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের কাছে নতুন কোনও প্রস্তাব নেই। তবে তারা সীমিত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বিবেচনা করতে আগ্রহী, যেখানে ৪০ জন জিম্মির পরিবর্তে ৩৩ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের পাঁচ বছর বা তারও বেশি মেয়াদে অস্ত্রবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। এমনকি সশস্ত্র শাখা বিলুপ্ত করে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক দল হিসেবেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রস্তুত।

এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়্যা বলেন, ‘হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন ও আন্তর্জাতিক রেজল্যুশন অনুযায়ী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন মেনে। এবং এমনটা হলে হামাসের সামরিক শাখা বিলুপ্ত করা হবে।’ 

সূত্র : রয়টার্স

যাযাদি/ এসএম