পাকিস্তানে মিললো খাজানার সন্ধান, বদলে দিতে পারে গোটা দেশের অর্থনীতিকে

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৫

যাযাদি ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

পাকিস্তানের মাটিতে মিললো  গুপ্তধনের শোধন । যা বদলে দিতে পারে দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে। পাকিস্তানের আঞ্চলিক পানি সীমায় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি উল্লেখযোগ্য মজুত আবিষ্কৃত হয়েছে, পরিমাণ এত বেশি যে  দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ডননিউজ টিভি এখবর জানিয়েছে। কর্মকর্তা জানিয়েছেন , তেল ও গ্যাসের মজুদের উপস্থিতি যাচাই করার জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায়  তিন বছরের জরিপ করা হয়েছিল। এই খনিজ ভাণ্ডার থেকে যে বিপুল অর্থ উপার্জন হবে, তাকে ‘ব্লু ওয়াটার ইকোনমি’ বলা হচ্ছে। এই খনিজ ভাণ্ডার খননের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই নিলাম দর ডাকছে। শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু হবে। তবে কূপ  খুঁড়ে, তার থেকে তেল উত্তোলন করতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।এই মজুদগুলো দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা  বলেন- এটা নির্ভর করে উৎপাদনের আকার ও পুনরুদ্ধারের হারের ওপর। "যদি এটি একটি গ্যাস রিজার্ভ হয় তবে এটি এলএনজি আমদানি প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং যদি এটি তেলের মজুদ হয় তবে আমরা আমদানি করা তেল প্রতিস্থাপন করতে পারি।"তিনি উল্লেখ করেছেন যে শুধুমাত্র অনুসন্ধানের জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন এবং একটি অফশোর অবস্থান থেকে রিজার্ভ বের করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।তিনি বলেন, যদি অনুসন্ধানের ফলে রিজার্ভের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে মজুদ উত্তোলন ও জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কূপ এবং অবকাঠামো স্থাপনের জন্য আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।বিশ্বের সবথেকে বেশি তেলের খনি রয়েছে ভেনেজুয়েলাতে।

এছাড়া সৌদি আরব, ইরান, কানাডা ও ইরাকেও প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের খনি রয়েছে। মনে করা হয়, আমেরিকাতেও এমন প্রচুর তেলের খনি রয়েছে, যার হদিশ এখনও মেলেনি।পাকিস্তানের প্রাক্তন তেল ও গ্যাস রেগুলেটরি অথরিটির প্রাক্তন সদস্য মহম্মদ আরিফ পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ টিভিকে   দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা আশাবাদী হলেও, ১০০ শতংশ নিশ্চয়তা নেই যে বিপুল তেলের সন্ধান মিলবে।'

সূত্র : ডন

যাযাদি/এসএস