‘ইরানে হামলা হলে কঠিন জবাব দেওয়া হবে’

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৪:৩৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফাইল ছবি

পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে।  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন,  ইরান পরমাণু চুক্তি সম্পাাদনে সম্মত  না হলেও দেশটির ওপর সরাসরি হামলা চালানো হবে।  কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, অনুরূপ হুমকি দেয়া হয়েছে ইসরাইলের পক্ষ থেকেও।

এমনি পরিস্থিতিতে ইরান  হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে,  যুক্তরাষ্ট্র  কিংবা ই্সরাইল ইরানে  আক্রমণ করলে পাল্টা হামলা চালানো হবে। ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কোনও বৈরিতা পোষণ করে না বলেও জানিয়েছে তেহরান।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ রোববার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইল ইরানের ওপর হামলা চালায়, তাহলে তেহরান তাদের স্বার্থ, ঘাঁটি ও বাহিনীকে যেকোনো সময় ও যেকোনো স্থানে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।

ইরানের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং আর এই হামলার প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নাসিরজাদেহ বলেন, হুথিরা স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং ইরানের নির্দেশে নয়।

তিনি আরও জানান, ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কোনও বৈরিতা পোষণ করে না, তবে যদি (ইরানে) হামলা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলো তেহরানের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

এদিকে “কাসেম বাসির” নামে ইরান তাদের নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে, যার পাল্লা ১২০০ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্নত নির্দেশনা ও গতিশীলতার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে যেতে সক্ষম এবং জিপিএস ছাড়াই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।


যাযাদি/আর