ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ: কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষার্থী আটক
প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৫, ১৫:৪১

ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ করায় কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে মার্কিন পুলিশ।
গত বছর থেকে গাজার সমর্থনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় হওয়া বিক্ষোভের মধ্যে বুধবারের আন্দোলন ছিল বৃহত্তম। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, মুখোশ পরিহিত বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল পাঠাগারে লরেন্স এ. ওয়েইন রিডিং রুমে টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে ঢোল পেটাচ্ছেন। সে সময় তাদের কাছে ছিল ‘গাজার জন্য ধর্মঘট’ এবং ‘মুক্ত এলাকা’ লেখা ব্যানার।
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে তাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে তারা নিউ ইয়র্ক পুলিশকে ফোন দেয়। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সদলবলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, পাঠাগারের তৃতীয় তলার প্রধান পাঠকক্ষ তারা আটকে রেখেছেন। তাদের কাজ অবৈধ অনুপ্রবেশের তালিকায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।
ছয় তলা ভবনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পাঠাগার ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানো শিক্ষার্থীদের জোর করে বের করে নেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের জিপ-টাই দিয়ে হাত বেঁধে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গেছে পুলিশ।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরা আন্দোলন নিয়ে গত বছর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, এসব বিক্ষোভ মূলত ইহুদি বিদ্বেষ প্রসূত এবং কর্তৃপক্ষ তার ইহুদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তার অভিযোগের জবাবে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, কট্টর ইসরাইলপন্থি ট্রাম্প ও তার মিত্ররা ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের সঙ্গে ইহুদি বিদ্বেষকে গুলিয়ে ফেলছেন।
এদিকে, বিজ্ঞান খাতে কোটি কোটি ডলার বরাদ্দ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীদের মতো কড়া অবস্থানে না গিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধিতা ও অন্যান্য বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতার ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ ঠেকাতেও তারা সচেষ্ট।
যাযাদি/আর