সৌদি দিয়ে শুরু হচ্ছে ট্রাম্পের তিন দেশ সফর

প্রকাশ | ১২ মে ২০২৫, ১৫:৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার সৌদি আরব সফরের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সফর শুরু করতে যাচ্ছেন। 

 তার এই সফরের লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেকার যুদ্ধ ও গাজা যুদ্ধ বন্ধের উপায় বের করা। তবে এই সফরের  মধ্য দিয়ে মার্কিন বাণিজ্যিক বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের তিন ধনী দেশ সফরে তিনি ব্যায় করবেন চারদিন। 
এসব দেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং সম্মিলিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি  গাজা থেকে ইউক্রেন এবং ইরান পর্যন্ত ট্রাম্প যে সংঘাত সমাধান করতে চান, সেখানে নিজেদেরকে মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করেছে দেশগুলো। 

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় উপসাগরীয়-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরকালে ফিলিস্তিন ইস্যুসহ উপসাগরীয়-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্যসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের মধ্যে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সামরিক ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে কী কী চুক্তি ও সমঝোতা হতে পারে তা নিয়ে চলছে বিস্তর জল্পনা। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প প্রথমবার সৌদি আরবে যাচ্ছেন। সেখানে সফর শেষের পর তিনি যাবেন কাতারে এবং তারপর যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এদিকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভ‚মিকা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর সংকটের ‘হাজার বছরের’ অচলাবস্থার সমাধানে তিনি সহায়তা করতে চান। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য ঘোষিত যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ব্যাপারে ওয়াশিংটন সাহায্য করতে পারায় তিনি গর্ববোধ করছেন। শনিবার গভীর রাতে ট্রæথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র এই ঐতিহাসিক ও সাহসী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পেরেছে।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী, দূরদর্শী নেতৃত্ব দেখিয়েছে যে তারা বুঝতে পেরেছে এখনই আগ্রাসন থামানোর সময়। তিনি জানান, যদিও আলোচনায় বিষয়টি আসেনি, আমি দুই দেশের সঙ্গে ব্যাপকভাবে বাণিজ্য বাড়াবো। এছাড়া আমি দুই পক্ষের সঙ্গেই কাজ করে দেখবো, ‘হাজার বছর পর’ কাশ্মীরের ব্যাপারে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায় কি না। 

কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কি এবার সত্যিই মধ্যস্থতাকারীর ভ‚মিকায় এগিয়ে আসবে? এর আগে, শনিবার ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রæথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’


যাযাদি/আর