৯০ বাংলাদেশিকে আটকের দাবি ভারতীয় পুলিশের

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২৫, ১৮:১৫

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মথুরা জেলার খাজপুর গ্রাম থেকে ৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করার দাবি করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার (১৬ মে) সকালে মথুরা জেলার নৌঝিল থানার আওতাধীন খাজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে স্থানীয় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। এই ঘটনা ভারতের বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত ও ফেরত পাঠানোর চলমান অভিযানেরই একটি অংশ। জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) শ্লোক কুমার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ওই অভিযানে একটি ইটভাটায় কাজ করা অবস্থায় ৯০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।

পত্রিকাটি আরও জানায়, খাজপুর গ্রামে একটি ইটভাটায় তল্লাশির সময় ৩৫ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী এবং ২৮ জন শিশুকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, আটককৃতরা দাবি করেছে তারা ৩-৪ মাস আগে মথুরায় এসেছে এবং তার আগেও ভারতের অন্য একটি রাজ্যে বাস করছিল। বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধানের জন্য অন্যান্য গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাকেও জানানো হয়েছে। সেই সংস্থাগুলোও তাদের জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত হয়েছে।

রাজ্যজুড়ে চলছে অভিবাসী শনাক্তকরণ অভিযান:

উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার অবৈধ অভিবাসীদের, বিশেষ করে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করে ফেরত পাঠাতে তৎপর। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনেক অবৈধ অভিবাসী দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া নাম-পরিচয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করছেন। তাদের সনাক্ত করতে তল্লাশি ও নথি যাচাই প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজ্যের সব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) এবং পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা দ্রুত এই ধরনের ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া ভারত-নেপাল সীমান্তে যেসব অবৈধ ও অননুমোদিত স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোও সরিয়ে ফেলার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার কী বলছে?

এদিকে সীমান্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশিদের ‘পুশইন’ (জোর করে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া) করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমরা ভারতের পুশইনকে কোনো উসকানি হিসেবে দেখছি না। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি, যেন কোনো বাংলাদেশিকে জোর করে না পাঠিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে।