মণ্ডপে ‘মাতাল’ বর, বিয়ে ভেঙে থানায় ছুটলেন কনে
প্রকাশ | ১৯ মে ২০২৫, ১৮:০৮

জমজমাট বিয়ের আসর। বরের জন্য অপেক্ষায় কনেপক্ষে। নাচতে নাচতে শোভাযাত্রা করে বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছোলেন বর। গাড়ি থেকে নেমে বিয়ের মণ্ডপের দিকে এগোতে গিয়েই বিপত্তি। টলে যায় তাঁর পা। বলতে গেলে প্রায় টলতে টলতেই মণ্ডপে পৌঁছোন। চারপাশে তখন ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আলোচনায় বরের ‘অবস্থা’! তবে ততক্ষণে কনে বুঝে গিয়েছেন কী ঘটেছে! মদ্যপ অবস্থাতেই বিয়ে করতে এসেছেন বর। রেগে বিয়ে বাতিল করে দেন কনে। অভিযোগ জানানো হয় থানাতেও।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাহজোই থানার মুলহেতা গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক খেসারিলালের কন্যা শশীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল আমরোহার এক ব্যবসায়ীর পুত্র অমিত রানার। শনিবার গ্রামেই বিয়ের আসর বসেছিল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বর এবং বরযাত্রীরা বিয়ের আসরে পৌঁছোন। বর আসতেই নানা রীতি শুরু করে কনের পরিবার। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন ‘অদ্ভূত’ আচরণ শুরু করেন অমিত। কখনও তাঁর পা টলতে থাকে, কখনও আবার তাঁর কথা জড়িয়ে যায়। অমিতের এই আচরণ দেখে তৎক্ষণাৎ বিয়ে বাতিল করে দেন শশী।
এক পুলিশ কর্তা জানান, শশী পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি এমন কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না, যিনি নিজের বিয়ের দিনে সংযত থাকতে পারেন না! কনের পরিবারের অভিযোগ, বরযাত্রীর প্রায় সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। অমিতের পরিবার বার বার বিয়ে বাতিল না করার অনুরোধও করেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন শশী।
বিয়ে বাতিল মেনে নিতে পারেনি অমিতের পরিবার। শুরু হয় দুই পরিবারের মধ্যে বচসা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ বর এবং তাঁর আত্মীয়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের সামনে অমিত বার বার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি ‘প্রতারিত’ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। বরের দাবি, অজান্তেই তাঁর বন্ধুরা ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মদ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বুঝতেও পারেননি। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ে ভেস্তে যায়। তবে কনে পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। দুই পক্ষই উপহার ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাহজোইয়ের এসএইচও হরিশ কুমার।