অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, নিহত ২ 

প্রকাশ | ২২ মে ২০২৫, ১৫:৩৬

যাযাদি ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় দুইজন নিহত হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে সৃষ্ট এই ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত  নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন। একই সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

বন্যার্তদের  নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে সতর্ক করা হয়েছে। বিপুল মাত্রার এই বৃষ্টিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি জানিয়েছে,  ধীর গতির একটি নিম্নচাপের কারণে অস্বাভাবিক এই বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্থানীয় অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের জীবনে এতটা বৃষ্টি আগে কখনো দেখেননি।

টানা বর্ষণে সৃষ্টি বন্যায় বহু মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজারের বেশি জরুরি সেবা কর্মী। অনেককেই ছাদের ওপর থেকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের মিড নর্থ কোস্ট অঞ্চলে নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে পৃথক অভিযান। জানা গেছে, এক নারী বন্যার পানিতে গাড়ি আটকে পড়লে নিখোঁজ হন।
 আরেক ব্যক্তি হেঁটে যাওয়ার সময় পানির স্রোতে তলিয়ে যান। বন্যার প্রভাবে রাজ্যের শতাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খোলা হয়েছে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র।

পুলিশ জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে করে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয় প্লাবিত বাড়ি ও রাস্তা থেকে এবং ৪ জনকে একটি সেতু থেকে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪টি কুকুর এবং একটি বিড়ালও, যাদের মালিকদের সঙ্গে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মিড নর্থ কোস্টের শহর টারি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সেখানে একটি নদীর পানি বিপদসীমার ২০ দশমিক ৬ ফুট ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা এক শতাব্দীর পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক্সে দেওয়া পোস্টে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে বন্যাটিকে ‘বিধ্বংসী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ আরও ৩০০ মিলিমিটার বা ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাজ্যের অন্তত ১০ হাজার বাড়ি নতুন করে বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের কর্মকর্তা কলিন ম্যালোন বলেন, ‘আমরা টানা ভারী বৃষ্টি এবং দ্রুতগতিতে নদীর পানি বৃদ্ধি দেখেছি। পানিতে ডুবে যাওয়া সড়ক ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকায় পৌঁছানো দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।’