ভ্রমণে গিয়ে ব্রিটিশ নারীর মৃত্যু, ময়নাতদন্তে উধাও হৃৎপিণ্ড

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৫, ১৭:০৩ | আপডেট: ২৬ মে ২০২৫, ১৭:২৬

যাযাদি ডেস্ক
ছবি সংগৃহিত

ব্রিটিশ এক নারী তুরস্কে ছুটি কাটাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ ওই নারীর নাম বেথ মার্টিন। ময়নাতদন্তে তার দেহ থেকে হৃৎপিণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

পরিবারের দাবি, বেথ মার্টিনকে অ্যালার্জি থাকা সত্ত্বেও হয়তো পেনিসিলিন দেওয়া হয়েছিল, যার প্রতিক্রিয়ায় তার দেহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর আগে তাকে জোর করে চেপে ধরে, অপ্রয়োজনীয়ভাবে শরীরে সূচ ও যন্ত্র প্রয়োগ করে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তুর্কি হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

সোমবার (২৬ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোর্টসমাউথের বাসিন্দা বেথ মার্টিন তার স্বামী লুক মার্টিন এবং দুই সন্তান এলুয়িস (৮) ও টমি (৫)-কে নিয়ে ২৭ এপ্রিল ছুটি কাটাতে তুরস্ক যান। তবে বিমানে উঠেই তার শরীরে অসুস্থতা দেখা দেয়। বিষয়টি প্রথমে খাবারের বিষক্রিয়া (ফুড পয়জনিং) মনে করা হয়।

তুরস্কে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৮ এপ্রিল ইস্তানবুলের মারমারা ইউনিভার্সিটি পেনডিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তুর্কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বহু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে বিস্তারিত কারণ জানানো হয়নি।

তবে মৃত্যুর পর ব্রিটেনে তার দেহ পাঠানো হলে ব্রিটিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্তে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ওই নারীর শরীরে কোনো হৃৎপিণ্ড নেই।

স্বামী লুক মার্টিন অভিযোগ করেন, তুর্কি কর্তৃপক্ষ তাকে প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে হাসপাতালে ভ্যানে বসিয়ে সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে জেরা করে। তিনি বলেন, আমাকে জেরা করা হয়, দোষী মনে করে বারবার চাপ দেওয়া হয়—যেন আমি ওকে বিষ খাইয়ে মেরেছি।

তুর্কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, মৃত্যুর সময় কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি এবং তারা হৃৎপিণ্ড অপসারণের দাবি অস্বীকার করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার পূর্ণ সত্য উদঘাটনে সময় লাগবে। ব্রিটিশ কোরোনাররা জানিয়েছেন, সব রিপোর্ট ও ফরেনসিক বিশ্লেষণ শেষ হতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।