মাস্ক পাগল হয়ে গেছে, মন্তব্য ট্রাম্পের
প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:২৮

কখনো একে অপরের প্রশংসায় মুখর, আর এখন মুখোমুখি কথার যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্কের দ্বন্দ্ব যেন ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ এক সাক্ষাৎকারে মাস্ককে নিয়ে কড়া মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, "ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওর সঙ্গে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেও নেই আমার।"
শুক্রবার এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের নির্ধারিত এক সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে এই কটাক্ষ করেন। ট্রাম্পের এ বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই আবারও আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে মাস্ক-ট্রাম্প সংঘাত।
তাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিল (আইন) নিয়ে। মাস্কের অভিযোগ, আলোচিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ তার অজ্ঞাতেই রাতের বেলায় পাস করা হয়। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি ট্রাম্পের প্রশাসনিক উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর থেকেই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে বাকযুদ্ধ ক্রমেই বাড়ছে।
ট্রাম্প এর আগে একাধিকবার মাস্কের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। অপরদিকে, মাস্কও দাবি করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তার সহায়তা না পেলে ট্রাম্প জয়ী হতে পারতেন না, বরং ডেমোক্র্যাটরাই হোয়াইট হাউসে যেত।
বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ লেখেন, “আমেরিকার খরচ বাঁচানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে এলনের সব সরকারি ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করা। বাইডেন কেন এটা করেননি, সেটা ভেবে অবাক হই।”
জবাবে মাস্ক এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছেন, “যদি প্রেসিডেন্ট আমার সরকারি চুক্তি বাতিল করেন, তাহলে স্পেসএক্সও ড্রাগন স্পেসক্রাফট সরিয়ে নেবে।” যদিও পরবর্তী এক মন্তব্যে মাস্ক জানান, আপাতত সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে এবং তিনি এখনও ‘টিম আমেরিকা’র পক্ষেই রয়েছেন।
অনেকে ধারণা করছিলেন, এতটুকু লড়াইয়ের পর হয়তো পরিস্থিতি একটু শান্ত হবে। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্যে আবারও স্পষ্ট হলো—এই রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব এত সহজে থামছে না।