পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সাথে হাত মেলালো ইরান-চীন

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২৫, ১৪:১৬

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাস মোকাবেলায় ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকারও জানিয়েছে ফোরামের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে চীন ও ইরানের অবস্থান, যারা আন্তর্জাতিক পরিসরে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনায় কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে ইসলামাবাদের ওপর।

সম্প্রতি ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় ব্রিকসের ১১তম সংসদীয় ফোরাম। এতে অংশ নেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইথিওপিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ভারতের প্রতি সংহতি জানায় সদস্য দেশগুলো।

ওম বিড়লা বলেন, “সন্ত্রাস দমনে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।” দুদিনব্যাপী ওই সম্মেলনে বিশ্ব শান্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

২০২৬ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১২তম ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম। এ উপলক্ষে পরবর্তী অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে ওম বিড়লাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন। ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হত্যা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদিরা। হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থাপনা ধ্বংস করে এবং শতাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদিকে হত্যা করে। এর পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

ভারতের দাবি, এই হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও অস্ত্র চীনে তৈরি। ফলে চীনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে পরোক্ষ সহায়তার অভিযোগ তোলে দিল্লি। তবে ব্রিকস ফোরামে চীনের পক্ষ থেকে ভারতের পাশে থাকার বার্তা চীন-পাক সম্পর্কের উপর নতুন আলো ফেলছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।