মাস্ক পরিহিতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিল ট্রাম্প

যায়যায়দিন

আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লস অ্যাঞ্জেলসের রাস্তায় অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন দমনে এবার মুখোশ পরা বিক্ষোভকারীদের সরাসরি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেন তিনি। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “মুখোশ পরা আন্দোলনকারীদের এখনই গ্রেপ্তার করুন।”

রোববার (৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক বার্তায় এমনই নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, অনেক বিক্ষোভকারী মুখে মাস্ক পরে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিচ্ছেন এবং কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে এটি ব্যবহার করছেন।

লস অ্যাঞ্জেলসে ইতোমধ্যেই আন্দোলনকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় আগেই সেখানে মোতায়েন করা হয় প্রায় ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ন্যাশনাল গার্ড শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বর্বর আচরণ করছে।

ট্রাম্পের এই ‘মাস্ক বিরোধী’ নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। কারণ, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী সরকার কারও মুখোশ পরা বা নির্দিষ্ট পোশাক পরার অধিকার খর্ব করতে পারে না—বিশেষত যখন তা বিক্ষোভ বা মতপ্রকাশের অংশ। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের এই নির্দেশ সংবিধান বিরোধী।

এদিকে ডেমোক্রেটিক ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম ট্রাম্পের অবস্থানকে “অনৈতিক ও দমনমূলক” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনী নামিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।

প্রসঙ্গত, অভিবাসন বিরোধী নীতির পক্ষে সাফ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্প। এরইমধ্যে ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’ নামের একটি বিতর্কিত আইন কার্যকর করেছে তাঁর প্রশাসন, যার আওতায় অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, “আমরা মুখোশ পরেও প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। ভয় দেখিয়ে মতপ্রকাশ থামানো যাবে না।” লস অ্যাঞ্জেলসে আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রশাসন।