গাজায় পাঠানো ত্রাণের বেশিরভাগ আটা লুট হয়েছে: জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজার ত্রাণ সহায়তার ওপর থেকে ইসরাইল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর জাতিসংঘ যতটুকু আটা পাঠাতে পেরেছে, তার বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি ছিটমহলের সশস্ত্র গোষ্ঠী বা ক্ষুধার্ত মানুষেরা লুট করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।

সোমবার জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক সাংবাদিকদের জানান, কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং ব্যবহার করে জাতিসংঘ ৪৬০০ মেট্রিক টন গমের আটা গাজায় নিয়ে গেছে। তবে এটি প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।

ফারহান হক জানিয়েছেন, জাতিসংঘকে শুধু কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং ব্যবহার করে গাজায় খাদ্য পণ্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল। 

গাজার প্রতিটি পরিবারকে একটি করে আটার ব্যাগ সরবরাহ করে ‘বাজারের ওপর চাপ কমানো এবং জনগণের মাঝে হতাশা প্রশমিত করতে’ হলে সেখানে অন্তত ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন গমের আটা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র বলেন, ‘এগুলোর বেশিরভাগই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ক্ষুধার্ত মানুষেরা নিয়ে নিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে সশস্ত্র গোষ্ঠী লুট করেছে।’

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৪৬০০ মেট্রিক টন আটা গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার জন্য প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম হিসাবে আট দিনের রেশন হিসেবে যথেষ্ট।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইল এখন পর্যন্ত কেবল একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সাহায্য ঢুকতে দিচ্ছে। সংস্থাটি বহুদিন ধরেই আহ্বান জানিয়ে আসছে, সাহায্যের জন্য আরও পথ খুলে দিতে হবে এবং প্রবেশের অনুমতি সহজ করতে হবে।

ইসরাইল টানা ১১ সপ্তাহের অবরোধ তুলে নেওয়ার পর থেকে জাতিসংঘ অবরুদ্ধ গাজায় সীমিত পরিমাণে আটা, ওষুধ ও পুষ্টিকর খাদ্য পাঠাচ্ছে। তবে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে। শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টির হার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।