জার্মানিতে ইহুদি ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানসমূহে নিরাপত্তা জোরদার
প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৫, ১৫:৪৮

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ইরানবিরোধী হামলার প্রেক্ষিতে জার্মানি তাদের দেশে অবস্থিত ইহুদি ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ এ সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন চ্যান্সেলর মের্জ। এ সময় তিনি বলেন, "ইসরায়েলের নিজের অস্তিত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার অধিকার আছে।" পাশাপাশি, তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন।
মের্জ জানান, "ইরান এখন পর্যন্ত তাদের পারমাণবিক কার্যক্রমের সঠিক তথ্য প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে।" তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচি পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (NPT) লঙ্ঘন এবং এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক, বিশেষ করে ইসরায়েলের জন্য।
জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ইহুদি সম্প্রদায় এবং ইসরায়েলি স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চ্যান্সেলর মের্জ উভয় পক্ষকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না করার এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা এড়াতে সংযত থাকার আহ্বান জানান।
চ্যান্সেলরের নির্দেশে শুক্রবারই জার্মানির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা (security cabinet) বৈঠকে বসে। সেখানে দেশব্যাপী ইহুদি উপাসনালয়, স্কুল, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ইসরায়েলি দূতাবাসসহ বিভিন্ন সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু স্থানে হামলার হুমকি ও বিদ্বেষমূলক কার্যক্রমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জার্মানি ও ইসরায়েলের সম্পর্ক ইতিহাসের নিরিখে অত্যন্ত সংবেদনশীল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানি ইহুদি জাতির ওপর ঘটে যাওয়া গণহত্যার জন্য দায় স্বীকার করে, ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় জার্মানি ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।