ট্রাম্প ‘সতর্ক’ করার পরই ইরানে ইসরাইলি হামলা!

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৫, ১৭:১৪

যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে ‘বড় সংঘর্ষের শঙ্কা’ রয়েছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করার পরপরই ইরানে হামলা চালায় ইসরাইল। ট্রাম্প তার সতর্কবার্তায় বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ‘বড় সংঘর্ষের শঙ্কা’ রয়েছে। ইসরাইলের ইরানে হামলা চালানো ‘সম্ভব’ বলেও তিনি নিশ্চিত করেন। খবর: আল জাজিরা

গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প এ কথা বলেন। তার এই বক্তব্যের পরই আজ শুক্রবার ভোররাতে ইসরাইল ইরানে ব্যাপক হামলা চালায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি সংঘর্ষ এড়াতে চান। তিনি ইসরাইলের প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে, ততক্ষণ তারা যেন এমন পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাই। আমরা চুক্তির বেশ কাছাকাছি চলে এসেছি...আমি বরং একটি চুক্তি চাই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ মনে করি যে চুক্তির সুযোগ আছে, ততক্ষণ আমি চাই না ইসরায়েল আগ বাড়িয়ে ইরানে হামলা চালাক। এতে চুক্তিটা ভেস্তে যেতে পারে, আবার সহায়তাও হতে পারে, তবে এটা ঝুঁকিপূর্ণ।’

আবার ট্রাম্প এটাও বলেন, ‘ইসরাইলি হামলা হতে পারে।’ তবে এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত থাকবে কি না, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এর আগের দিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু কূটনীতিককে সরিয়ে নিয়েছে। সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় তারা দূতাবাসগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ওই অঞ্চলে অনেক মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। আমি বলেছি, আমাদের অবশ্যই তাঁদের বলে দিতে হবে, তাঁরা যেন সরে যান। কারণ, খুব শিগগিরই কিছু একটা ঘটতে পারে। আমি এমন একজন হতে চাই না, যিনি কোনো ধরনের সতর্কবার্তা না দিয়ে বসে থাকেন। আর তারপর ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে তাদের ভবনে আঘাত হানে। এটার কিন্তু সম্ভাবনা আছে।’

এসব কথাবার্তার মধ্যে ট্রাম্প আবারও কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘আমার পুরো প্রশাসনকে ইরানের সঙ্গে আলোচনার জন্য যুক্ত রাখা হয়েছে। ইরান একটি মহান দেশ হতে পারে। তবে তাদের আগে পরমাণু অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে।’