ভারতে আর উড়বেই না বোয়িং ড্রিমলাইনার!

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৫, ১৭:৫২ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ১৮:০০

বিশেষ প্রতিনিধি
সংগৃহীত

গুজরাটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার পর প্রশ্ন উঠেছে বোয়িংয়ের স্বাস্থ্য নিয়ে। আর এরপরই শোনা যাচ্ছে, বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ ফ্লিটকে গ্রাউন্ড করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ আপাতত এই বিমান উড়বে না। যদিও সরকারের তরফে এখনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভ ভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার ৪ মিনিট পরই ভেঙে পড়ে AI-787। ওই বিমানটি বোয়িং ড্রিমলাইনারের ছিল।  এরপরই বিমানের নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে।

শোনা যাচ্ছে, সেফটি রিভিউয়ের জন্যই বিমানটিকে আপাতত গ্রাউন্ড করে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ভারত-আমেরিকার মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্রের আরও খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হতে পারে। যদি বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে কোনও খামতি বা গাফিলতি পাওয়া যায়, তবে টাটা সংস্থার এই এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে।

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের আয়ু অন্তত ৩০ বছর। ৪৪,০০০ বার ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের। তবে গতকাল যে বিমানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে, তার বয়স হয়েছিল ১১ বছর। দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ‘মে-ডে কল’ করেছিলেন পাইলট। তবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে কোনও সাহায্য করার আগেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপরে ভেঙে পড়ে বিমানের ডানা।

দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ফ্লাইট ১৭১-র বিষয়ে কথা হচ্ছে। আমরা তাদের সমর্থন জানাতে প্রস্তুত।”


সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এই মুহূর্তে এই মডেলের ৪৭টি বিমান রয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারত সরকারের ভাবনা অনুযায়ী এই বিমানগুলিকে যদি গ্রাউন্ড করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বিদেশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছেন অনেকে। কোনও মডেলের বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, সেই দুর্ঘটনার আসল কারণ যতদিন পর্যন্ত না জানা যায় ততদিন সেই মডেলের অন্য সমস্ত বিমান গাউন্ড করে দেওয়াই নিয়ম। তদন্তে যদি দেখা যায় দুর্ঘটনার কারণ পরিকাঠামোগত ত্রুটি নয় তখন ফের সেই পরিষেবা চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।

বোয়িং ৭৮৭ সিরিজে বর্তমানে তিনটি মডেল রয়েছে, যার মধ্যে বোয়িং ৭৮৭-৮ সবচেয়ে ছোট এবং এটিই প্রথম চালু হয়েছিল। এই বিমান ২৪৮ জন যাত্রী বহন করতে পারে। অন্যদিকে, ৭৮৭-৯ বিমানটির রেঞ্জ বেশি, ২৯৬ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সবচেয়ে ছোট রেঞ্জের তিনটির মধ্যে বৃহত্তম ৭৮৭-১০ বিমান ৩৩৬ জন যাত্রী ধারণ করতে পারে।