ইরানের নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তছনছ ইসরায়েল
প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২৫, ০৭:১১

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইরান। সর্বশেষ হামলায় ইহুদিবাদী ভূখণ্ডটির বিভিন্ন শহরের স্থাপনা লক্ষ্য করে ‘হাজ কাসেম’ নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরানি বাহিনী।
শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার ভোরে এসব হামলায় ইসরায়েলের একাধিক শহরে গুড়িয়ে গেছে অনেক ভবন। এতে দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে।
এর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ২০০ জন। এছাড়াও আরও ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফা, বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব, বাত ইয়াম, উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত এনেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। এতে অনেক ভবন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স’-এর মতে, শনিবার রাতভর একের পর এক হামলার সময় ইসরায়েলে হাজ কাসেম গাইডেড ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হেনেছে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ ৪ মে ইরানি টিভিকে বলেন, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন সামরিক বাহিনীর টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড ডিফেন্স বা থাডের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ ইসরায়েল কর্তৃক ব্যবহৃত অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে যেকোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থার মতে, মে মাসের প্রথম দিকে ইরান এটি উন্মোচন করে বলেছে- এটি কঠিন জ্বালানি-চালিত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার পাল্লার দ্রুত গতির মিসাইল, যা কৌশলগত ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত। এটি ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে এক ধরনের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে, যা এটিকে লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানতে এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধযানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিশেষ অপারেশন ইউনিট কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার শহীদ কাসেম সোলাইমানির নামে, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হন। সূত্র: সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি