ইরানে অবস্থানরত জাপানি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার
প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১৪:০৯

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জাপান সরকার ইরান ও ইসরায়েলে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নানা ধরনের বিকল্প পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি আজ টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
হায়াশি বলেন, “আমরা নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন বিকল্প পর্যালোচনা করছি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” যদিও সুনির্দিষ্টভাবে কী ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তা প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, জাপান তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে জরুরি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে ভারত সরকারও ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী ও নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “তেহরানে বসবাসরত ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের কাজ চলছে, দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে।”
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা তীব্রতর হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তেহরান, দামেস্ক, হরমুজ প্রণালীসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে নিরাপত্তা হুমকি বাড়ছে।
জাপান সরকার সাধারণত বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক। এর আগে আফগানিস্তান, ইউক্রেন, সুদানসহ বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকায়ও জাপানি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এইবারও সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করছে সরকার।
টোকিওতে অবস্থিত ইরান ও ইসরায়েলের দূতাবাসগুলোর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জাপান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপানি নাগরিকদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়েছে যেন তারা সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলে এবং দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রাখে।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত যদি আরও তীব্র আকার ধারণ করে, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও দেশগুলোও একই ধরনের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে। জাপান ও ভারতের এই পদক্ষেপ এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা বাস্তব হয়ে উঠছে।