‘আগুনে ঘি ঢালবেন না’: ট্রাম্পকে চীনের কড়া বার্তা
প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১৪:২২

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাত ঘিরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘উস্কানিমূলক আচরণ’ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি সতর্ক করে বলেন, “তেহরানের নাগরিকদের এখনই শহর ছেড়ে সরে যাওয়া উচিত।” এই মন্তব্যকে ঘিরেই চীন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন: “আগুনে ঘি ঢালা, হুমকি দেওয়া এবং চাপ সৃষ্টি করা—এসব পদ্ধতি পরিস্থিতি প্রশমনের পরিবর্তে সংঘর্ষকে আরও তীব্র করে তুলবে। এটি অঞ্চলজুড়ে স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।”
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এখন শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজা, আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা কমানো- উস্কানি দিয়ে যুদ্ধ আরও বিস্তার করা না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের মতো প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা যখন সরাসরি হুমকিস্বরূপ ভাষায় বক্তব্য দেন, তখন এর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে যখন তেহরান বা গাজা কিংবা তেল আবিবে বেসামরিক জনগণ আতঙ্কে রয়েছে, তখন এমন বক্তব্য যুদ্ধপরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে।
চীন ইতিপূর্বেও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পক্ষে এবং একাধিকবার ইরান-সৌদি আরব পুনর্মিলনের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সাফল্য দেখিয়েছে। এবারও তারা একইভাবে আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ইরানও তা ‘উস্কানিমূলক’ বলে উল্লেখ করেছে। একাধিক ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিমা নেতারা এই সংঘর্ষকে নিজেদের রাজনৈতিক লাভের জন্য ব্যবহার করছেন।
এই প্রেক্ষাপটে চীনের মন্তব্য শুধু মার্কিন ভূমিকার প্রতি সমালোচনা নয়, বরং বৃহত্তর কূটনৈতিক নীতির প্রতিফলনও।
চীন স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিপক্ষে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে আগ্রহী। আর এ অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির ভাষা কিংবা ট্রাম্পের মন্তব্য যে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে, তা বেইজিং সরাসরি বলেই দিয়েছে।