সম্ভাব্য তিন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা দিলেন খামেনি
প্রকাশ | ২১ জুন ২০২৫, ১৯:২৫ | আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ১৯:৩০

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় এখন 'বাঙ্কারে' অবস্থান করছেন এবং তার মৃত্যুর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য তিন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে, যা ইরানের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি আক্রমণের মুখে নিজের জীবন এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্ব কাঠামো রক্ষা করতে খামেনি 'একটি অসাধারণ ধারাবাহিক পদক্ষেপ' নিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) প্রকাশিত নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত তিনজন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েল অথবা আমেরিকা তাকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে বলে খামেনি বিশ্বাস করেন, আর সে কারণেই তিনি ইলেকট্রনিক যোগাযোগ স্থগিত করে একজন 'বিশ্বস্ত সহকারীর' মাধ্যমে কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলছেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খবর হলো, খামেনি তার মৃত্যুর পর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনজন সিনিয়র ধর্মীয় নেতার নাম জানিয়েছেন। তবে প্রতিবেদনে এই নেতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে খামেনির পুত্র মোজতবা তার উত্তরসূরি হতে পারেন, কিন্তু এই নতুন তালিকায় তার নাম নেই বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং উল্লেখ করা হয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সামরিক কমান্ডারদের ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা শুরু করার পর থেকেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শত্রুতা তুঙ্গে উঠেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত এবং শত শত আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩,৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে ইরানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্ট ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে এসেছে এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।