শান্তি না এলে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

জানালেন  ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ অভিযানের কথা 

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২৫, ০৮:৩১

বিশেষ প্রতিনিধি
ফাইল ফটো

ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র তিন মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি এই হামলাকে “অসাধারণ সামরিক সাফল্য” হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে “সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস” করার দাবি করেন। ট্রাম্প বলেন, “ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো একেবারে সম্পূর্ণ ও চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এখন তাদের শান্তি আনতেই হবে। না আনলে পরবর্তী হামলাগুলো হবে আরও ব্যাপক, আরও সহজ।”

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “শান্তি না এলে আমাদের তালিকায় অনেক লক্ষ্য এখনও বাকি আছে। আমরা নির্ভুলতা, গতি ও দক্ষতার সঙ্গে তাদের ওপর হামলা চালাব।”

“এভাবে চলতে পারে না,”— বলেন ট্রাম্প। “এই অঞ্চলে হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য এমন বিপর্যয় অপেক্ষা করছে, যা গত আট দিনে দেখা ঘটনার চেয়েও অনেক ভয়াবহ হবে।”

ইসরায়েলের ভূমিকাও তার ভাষণে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একসঙ্গে একটি দল হিসেবে কাজ করেছে। আমরা মিলে এই ভয়াবহ হুমকিকে অনেকটাই দূর করেছি।”

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, এ হামলা তার প্রশাসনের পূর্বের পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা, যেখানে তিনি প্রথম দফায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করেছিলেন।

সামরিক দিক নির্দেশনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ড্যান কেইন রোববার সকাল ৮টায় (জিএমটি ১২টায়) সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটনের এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়ার ঢেউ উঠেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, পুরো বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নতুনভাবে নাড়া দেবে।