যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা বলছে ইরানের গণমাধ্যম
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৩

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি দাবি করেছেন, দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং অচিরেই তা কার্যকর হবে।
তবে এই ঘোষণার পরও তেহরান কিংবা তেল আবিবের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।’
তবে ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং দেশটির শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো এই ঘোষণাকে ‘ট্রাম্পের একতরফা দাবি’ হিসেবেই উল্লেখ করেছে।
ইসরায়েলের দিক থেকেও এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা কতটা সত্যি এবং এর প্রয়োগ কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার রাতেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরানের বিভিন্ন জেলার তিনটি স্থানে লোকজনকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। এর কিছু সময় পর ইরানজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের খবরও আসে। ট্রাম্পের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানে গভীর রাতেও আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে মধ্যস্থতার মূল ভূমিকা রেখেছে কাতার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির সঙ্গে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একাধিক ফোনালাপের মাধ্যমেই তেহরানের সম্মতি আদায় করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, কাতারের আমিরের সঙ্গে কথা বলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দোহা সরকারের কাছে তেহরানকে রাজি করানোর জন্য সহায়তা চান। পরে কাতার সক্রিয়ভাবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় মধ্যস্থতা করে।