ইসরায়েলের দিকে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়, জনগণকে আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:২২

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা আরও ঘনীভূত। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে, এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশজুড়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে সক্রিয় রয়েছে এবং হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে।" জনগণকে সতর্ক সংকেত পেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হামলার বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান সম্ভবত সরাসরি ও সংগঠিত প্রতিক্রিয়া শুরু করেছে যা গত কয়েক দিনের ইসরায়েলি আক্রমণের জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
একাধিক স্তরে হামলা, প্রস্তুত ইসরায়েল: সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইরানের এ আক্রমণ পরিকল্পিত ও সুসমন্বিত। ধারণা করা হচ্ছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে যা ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল লক্ষ্য করে পাঠানো হয়েছে।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বলছে, এই আক্রমণ থেমে যাওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই এবং পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েলি জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি আতঙ্কিত না হয়ে সকল নির্দেশনা মেনে চলতে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রয়েছে, বেসামরিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত।”
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আকাশে আয়রন ডোম ও অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজ চলছে, একাধিক বিস্ফোরণও দেখা গেছে আকাশপথে।
শান্তি আলোচনার সম্ভাবনার মাঝেই নতুন হামলা: এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ইরান এখনো সেই প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি।
এর আগে তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তা নতুন করে জানিয়ে দেয় যে শান্তির পথ এখনো দূরে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিও বলেছিলেন, “আমরা আরোপিত শান্তি মেনে নেব না।”
মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগ: এই পরিস্থিতিতে শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কুয়েত, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক সতর্কতা জারি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধাপে ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, যদি দুই পক্ষ সংঘর্ষ কমানোর দিকে না যায়।