জর্ডান উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক মহড়া, যুদ্ধবিরতির পর নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত?

সংগৃহীত

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আজ সকালে জর্ডান উপত্যকা এলাকায় এক বিস্তৃত সামরিক মহড়ার সূচনা করেছে। এই মহড়া চলবে দুপুর পর্যন্ত এবং এতে ব্যাপক সংখ্যক সামরিক যানবাহনের চলাচল হবে বলে জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, `আজ সকাল থেকে জর্ডান উপত্যকায় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ মহড়া শুরু হবে এবং তা চলবে বিকেল পর্যন্ত। এই সময় এলাকার রাস্তায় সামরিক যানবাহনের ব্যস্ত চলাচল দেখা যাবে।'

এই সামরিক মহড়া এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মাত্র ক’দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এক নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মহড়া যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীর পরিপন্থী না হলেও তা ইরান ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির প্রতি এক `পাওয়ার ডেমন্সট্রেশন' বা শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দিতে পারে।

জর্ডান উপত্যকা অঞ্চলটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঞ্চল, যেখানে ফিলিস্তিনিদের জমি অধিগ্রহণ ও বসতি স্থাপন ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও পর্যবেক্ষণ
যুদ্ধবিরতির পর এই ধরনের সামরিক তৎপরতা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলকে ইতোমধ্যেই 'যুদ্ধবিরতির আত্মা' রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

যদিও ইসরায়েল দাবি করছে এটি একটি পূর্বনির্ধারিত মহড়া, তবে ইরানসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো এটিকে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্ভর করছে অঞ্চলটিতে কতটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা যায় তার উপর।