আলোচনার কেন্দ্রে জোহরানের স্ত্রীর পরিচয়...

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৫, ২১:৫১

যাযাদি ডেস্ক
রামা দুওয়াজি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল প্রকাশের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। 

তবে কেবল তিনি নন, নতুন করে মনোযোগ কেড়েছেন তার স্ত্রী রামা দুওয়াজিও।

২৭ বছর বয়সী রামা দুওয়াজি সিরীয় বংশোদ্ভূত একজন শিল্পী। তার শিল্পচর্চার মূল বিষয় মধ্যপ্রাচ্য ও তার ইতিহাস-সংস্কৃতি। 

ইতিমধ্যে তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর মতো আন্তর্জাতিক মাধ্যমে, এমনকি প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরে।

তবে প্রাইমারির পুরো সময়জুড়েই স্বামীর নির্বাচনী প্রচারে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যায়নি রামাকে। প্রতিপক্ষ এই বিষয়টিকে মামদানির বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। 

তাদের অভিযোগ, ৩৩ বছর বয়সী মামদানি সচেতনভাবেই স্ত্রীকে আড়ালে রেখেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে ব্যতিক্রম। 

কারণ এখানে প্রার্থীরা সাধারণত পারিবারিক মূল্যবোধ তুলে ধরার কৌশল হিসেবে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে নিয়ে আসেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। 

নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে।

সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। 

আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ 

মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। 

পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তার কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’

রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তার অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। 

এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।