ইয়েমেন থেকে ইসরাইলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৪০ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫, ১২:০০

ইয়েমেন ভূখন্ড থেকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলাটি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যা ঘটলো ইরান-ইসরাইল সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঠিক পরপরই।
হুথিরা ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগ্রাসী অবস্থান বজায় রেখেছে। তাদের দাবি, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ’ করতেই এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ‘সম্ভবত সফলভাবে প্রতিহত’ করা হয়েছে।
এই হামলার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ও কিছু মধ্যাঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা সাইরেন বেজে ওঠে, যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (IDF) এক বিবৃতিতে বলেছে: “একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিরোধ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে এবং আমাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।”
এই ধরনের বিবৃতি কিছুটা ব্যতিক্রম, কারণ ইসরায়েল সাধারণত স্পষ্টভাবে জানিয়ে থাকে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করা হয়েছে কি না। এবারে তারা ‘সম্ভবত’ শব্দটি ব্যবহার করায় কূটনৈতিক এবং সামরিক বিশ্লেষকদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ফলে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ কিছুটা কমে এলেও, ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইরান-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে প্রক্সি যুদ্ধ চলমান রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হুথিদের এমন হামলা ইরানের প্রভাব বলয়ে থাকা গোষ্ঠীগুলোর স্বাধীন কার্যক্রমের লক্ষণ হতে পারে, অথবা এটি ইরানের কৌশলগত চাপে রাখার একটি হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদেরকে পুনরায় সতর্ক করেছে, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে এবং রেড সি উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলার সম্ভাবনা থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
এই সাম্প্রতিক হামলা স্পষ্ট করে দেয়, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত এবং উত্তেজনাপূর্ণ।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর হলেও, হুথিদের ধারাবাহিক হামলা ইসরায়েলকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে।