ভারতের আগ্রাসনের জবাবে যুদ্ধসাজে পাকিস্তান, বাড়ছে অস্ত্র মজুত

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২৫, ২৩:৩১

যাযাদি ডেস্ক
পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শাহিন-৩ প্রদর্শন করা হয়

দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে অস্ত্র প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে রয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী— ভারত ও পাকিস্তান। 

ভারতের বিপুল সামরিক শক্তি ও আধিপত্যবাদী অবস্থানের কারণে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে প্রতিরক্ষা বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ দিয়েছে পাকিস্তান। 

গত এক দশকে ভারতের সামরিক বাজেট কয়েকগুণ বেড়েছে। দেশটি এখন বিশ্বের শীর্ষ অস্ত্র আমদানিকারী। 

পরমাণু অস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, রাফাল যুদ্ধবিমান, ও চন্দ্রাভিযান—সব মিলিয়ে ভারতের শক্তির মহড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোকে আশঙ্কিত করে তুলেছে।

বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে একতরফা সিদ্ধান্ত এবং সীমান্তে আগ্রাসন পাকিস্তানের জন্য সরাসরি হুমকিস্বরূপ।

এই পটভূমিতেই পাকিস্তান সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন থেকে সর্বাধুনিক জেএফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার। 

ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে ইসলামাবাদের কাছে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প নেই—এমনটাই মনে করছে দেশটির নীতিনির্ধারকরা।

একদিকে যখন প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লক্ষ কোটি রুপি, তখন অন্যদিকে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ০.৮ শতাংশ। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের চাপ ও আঞ্চলিক সামরিক অসাম্য পাকিস্তানকে বাধ্য করছে প্রতিরক্ষা খাতে অগ্রাধিকার দিতে। 

ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন খাতগুলো উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দেশটি আরও বড় মানবসম্পদ সংকটে পড়বে।

শাহবাজ শরিফ সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, ২০২৯ সালের মধ্যে জিডিপির ৪ শতাংশ শিক্ষায় ব্যয় করা হবে। কিন্তু অর্থনৈতিক দুর্দশা, ঋণের চাপ এবং ভারতের সঙ্গে সামরিক প্রতিযোগিতা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, শুধু প্রতিরক্ষা নয়—ভারতের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নিজেদের অবস্থান জোরদার করাও জরুরি। 

ভারতের ‘আঞ্চলিক নেতৃত্ব’ দাবি এবং হিন্দুত্ববাদী সরকার যেভাবে সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, তা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা দরকার।