বন্দিমুক্তির দাবিতে উত্তাল ইসরাইল
প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২৫, ১৩:২০ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫, ১৩:৩৯

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ফের উত্তাল ইসরাইল। শনিবার (২৮ জুন) রাতে তেলআবিবের ‘হোস্টেজ স্কোয়ার’ ও ‘বেগিন রোডে’ হাজারো ইসরাইলি নাগরিক জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রায় তিন সপ্তাহ পর ফের এ আন্দোলন শুরু হলো।
বিক্ষোভকারীরা গাজায় যুদ্ধ অবসান এবং বন্দিমুক্তি চুক্তির পক্ষে স্লোগান দেন। তারা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ-নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
সূত্র জানায়, বর্তমানে গাজায় অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিক ও সেনা বন্দি রয়েছে।
এদিকে ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের মধ্যে আলোচনায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধ থামিয়ে বন্দিমুক্তির বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেছেন, তিনি মনে করেন “আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব”।
বিক্ষোভ চলাকালে যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া ইসরায়েলি সেনা লিরি আলবাগ আবেগঘন বক্তব্য দেন। হোস্টেজ স্কোয়ারে প্রায় ২ হাজার মানুষের সামনে তিনি বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে সব শিরোনাম জুড়ে ইরান, অথচ আমার ভাই-বোনেরা (বন্দিরা) গাজার অন্ধকারে কষ্টে আছে।”
লিরি জানান, বন্দি অবস্থায় তাকে ফিলিস্তিনি পোশাক পরিয়ে গাজার রাস্তায় হাঁটানো হয়েছিল। পরে পাঁচ নারী বন্দির সঙ্গে একটি নিচু, অন্ধকার গুহায় আটকে রাখা হয়, যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়ানোও সম্ভব ছিল না।
খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, “দিনে এক চতুর্থাংশ রুটি, একটি খেজুর আর আধ বাটি ভাত দেওয়া হতো। প্রতিটি মুহূর্ত ছিল যেন একেকটা অনন্তকাল।”
নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনারা ইরান ইস্যুতে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার গাজায় যুদ্ধ শেষ করে আমাদের ভাইবোনদের ফিরিয়ে আনার সাহস দেখান। কারণ এটি আমাদের জাতীয় নৈতিক দায়িত্ব।”
ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের যুদ্ধে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক মহলের নজর গাজায় চলমান সংকট ও বন্দিমুক্তি আলোচনার দিকে।