ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:১২

ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
হুতি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টিভিতে সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তারা ‘ফিলিস্তিন-২’ মডেলের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।
সারির মতে, ‘লাখ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করে ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত করে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে’।
সারিয়ার দাবি, বেনগুরিয়ন বিমান বন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ইলাত, তেল আবিব ও আশকেলনের ‘তিনটি সংবেদনশীল স্থান’ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলাও চালানো হয়েছে।
হুতি মুখপাত্র গোষ্ঠীর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতি গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে যে, তাদের এসব পদক্ষেপ অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।
উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান শত্রুতার সময় ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে নিজেদের একত্রিত করেছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েল ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালিয়েছে, বিশেষ করে জ্বালানি ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে।
স্থানীয় ইয়েমেনি কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় উত্তর ইয়েমেনে অনেক মানুষ হতাহত ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।