‘অগ্নি-৫’র নতুন সংস্করণ তৈরি করছে ভারত

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫৮

যাযাদি ডেস্ক
 ভারতের অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি :সংগৃহীত

ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) অগ্নি-৫-এর নতুন সংস্করণ তৈরি করছে। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে অগ্নি-৫ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের দুটি ভার্সন বাংকার বাস্টার তৈরি শুরু করেছে দেশটি।

অগ্নি-৫ মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে গিয়ে কংক্রিটের আস্তরণ ভেদ করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করে নিয়ে যেতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর দুটি সংস্করণ থাকবে౼একটি আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক নিয়ে বাংকার বাস্টারের কাজ করবে। এটা সুপারসনিক গতিতে যাবে। অন্যটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারবে।

বাঙ্কার বাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র হলো এক বিশেষ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, যা মাটির গভীরে ঢুকে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এবং মিলিটারি বাঙ্কার, কমান্ড সেন্টার, মিসাইল রাখার জায়গা ও অস্ত্রভাণ্ডারে গিয়ে আঘাত করতে পারে। সাধারণ যুদ্ধাস্ত্র বা বোমা মাটির ওপর গিয়ে পড়ে ও বিস্ফোররিত হয়। কিন্তু বাঙ্কার বাস্টার মাটির ভেতর ঢুকে কংক্রিটে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা একটা ডেটারেন্ট হিসেবে কাজ করবে। যেকোনো দেশের মাসল পাওয়ার বাড়ানোর দরকার হয়। কোনো সন্দেহ নেই, ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অস্ত্র মাটির গভীরে চলে যেতে পারে। কয়েকটা পর্যায়ে এর ডেটোনেশন হয়। প্রথমে ওপরে হয়, তারপর ভেতরে ঢুকে বারবার তা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এটা নির্দিষ্ট একটি কোণে রাখতে পারলে টার্গেটে সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত করতে পারে। তাই এই অ্যাঙ্গেল বা কোণটা খুবই জরুরি।’

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন মার্কিন বাঙ্কার বাস্টার দেখার পর ভারতের এই প্রয়াস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে ভারত আগেই এই অস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’

আধুনিক যুদ্ধে এই বাংকার বাস্টার খুব জরুরি বলে মনে করা হয়। কারণ অন্য দেশের কমান্ড ও কন্ট্রোল কেন্দ্রগুলো এখন মাটির নিচে থাকে। অস্ত্র, জ্বালানি, রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্রও মাটির তলায় রাখা হয়। সেগুলোয় আঘাত করতে চাইলে বাঙ্কার বাস্টার দরকার হয়। এ জন্যই এর গুরুত্ব রয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস